মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওয়াসার পানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা গত ১২ বছর ধরে জনগণের ওপর যে অত্যাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছেন, জনগণ কখনোই তা আর মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, পানির দাম পাঁচবার বেড়েছে। যে পানি মুখে দেওয়া যায় না। বিদ্যুতের দাম আটবার বেড়েছে। কারণ কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে লুট করেছে তাই ভর্তুকি দিতে জনগণের পকেট কেটে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে যদি কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ না করলেও তাদের পয়সা দিতে হবে। কালকে জানলাম প্রতিবছর ৫১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। এ টাকা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে নেওয়া হচ্ছে। চাল-পেঁয়াজ-লবণের দাম বাড়ছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বাড়ি ভাড়া বাড়ছে। এখন আবার এ পানি-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষদের চরম অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
জনগণের প্রতি এ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেহেতু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছে, সুতরাং জনগণের কোনো দুঃখ দুর্দশা বোঝার মতো ক্ষমতা তাদের নেই।
তিনি বলেন, এ সরকার লুটেরা সরকার। এ সরকার ব্যর্থ ও জবরদখলকারী। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেজন্য জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বন্দুক পিস্তল দিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বরে নিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এ ক্ষমতা দখল করে থাকার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক সিকদারসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এমএইচ/এফএম