বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ওই দাবি জানান।
তাবিথ আউয়াল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ওষুধের কথা শোনা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসকে কিউর করার জন্য।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ঠিক এই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি অত্যন্ত আনন্দের। উনার মুক্তির কারণে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই মহামারি থেকে মুক্তি পেতে পারবো। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর আমি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। দেশের এমন পরিস্থিতিতে উনার এই ভাষণ থেকে বোঝা গেছে এতে একটু ঘাটতি রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি দেশে ১৩ হাজার টেস্ট কিট আছে আরও ৩০ হাজার টেস্ট কিট দেশে আনা হচ্ছে। তবে এই টেস্ট কিটগুলো কবে নাগাদ দেশে আসবে এসব যদি জানতাম তাহলে আরও কিছুটা স্বস্তিতে থাকতাম।
তাবিথ বলেন, আমাদের বলা হয়েছে রাজধানীর ১০টি হাসপাতালে এবং দেশের অন্যান্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকগুলো আইসোলেশন বেড ও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো বলা হচ্ছে না ওই সব আইসোলেশন বেডগুলেতে আইসিইউর ব্যবস্থা আছে কিনা। আমরা শুনতে পেলাম রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরো জানতে চাই রপ্তানিমুখী শিল্প ছাড়াও দেশে যেসব শিল্প আছে তাদের ব্যাপারে কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে গত দুই মাস ধরে যে, দু'টি দাবি আমি জানিয়ে আসছি যে, পানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে না। কিন্তু ঠিকই এসবের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এখন বলছে এই বিলগুলো জুনের আগে পরিশোধ করতে হবে না। আমি মনে করি আগে এসবের দাম কমিয়ে তারপর বিল চার্জ করা প্রয়োজন ছিল।
সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা এই মহাবিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, সরকারের বেসরকারিখাতকে আহ্বান জানানো উচিত। বিশেষ করে চিকিৎসা সেক্টরে সহযোগিতা করার জন্য। আর কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়টাও পরিষ্কার করা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এমএইচ/এএটি