মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়। জোটের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একথা বলা হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য ও মতামত রাখেন বাম জোটের সমন্বয়ক বাসদ নেতা কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জুনায়েদ সাকী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক প্রমুখ।
বাম জোটের নেতারা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার এ মহামারিকে গুরুত্ব দেয়নি। গত ৩ মাসে সরকারের কোনো প্রস্তুতি নেই, যা দেশের একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষা এবং সেখানকার মুখপাত্র আক্রান্ত ও মৃতের যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে তা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। তথ্য গোপন করলে বরং বিপদকে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। এতে জনগণ অসতর্ক থাকবে এবং অপঘাতে মৃত্যু ঘটবে। ’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশে দুই কোটির উপর শ্রমজীবী হত-দরিদ্র মানুষ আজ করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে গৃহবন্দি অবস্থায় কর্মহীন হয়ে খাদ্যাভাব ও নগদ অর্থ সংকটে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিদিনই সংবাদপত্রে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর বেরুচ্ছে সরকারের সাধারণ ছুটিতে মানুষ ঘরে বসে থাকতে চাইছে না। তারা বলছে করোনায় যেমন ভয় আছে, তেমনি ঘরে বসে থেকে তো না খেয়ে মরার সম্ভাবনাও আছে। করোনা পরিস্থিতিতে এবং এর পরে যেন কারো কর্মচ্যুতি না ঘটে সে জন্যও সরকারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। এই মহামারী রোধে সবাইকে যুক্ত করে উদ্যোগ নেওয়া না হলে জাতিকে মারাত্মক খেসারত দিতে হবে এবং এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। ’
বিজ্ঞপ্তিতে সব মত-পথের চিকিৎসক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে পরীক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়। এ জন্য বাজেট পুনর্বিন্যাস করে প্রয়োজনে এডিপি কাটছাট করে করোনা চিকিৎসা, দরিদ্র জনগোষ্ঠির খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার আহবান জানান বাম জোট নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
আরকেআর/আরএ