মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গণভবন থেকে নোয়াখালী জেলার মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ে করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক ভিডিও কনফারেন্সের মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আমাদের সঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের থাকতে পারতেন। কিন্তু আমি তাকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেছি। কোথা না যেতেও বলেছি।
গত বছরের ৩১ মার্চ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। এ সময় পরীক্ষায় তার করোনারি আর্টারিতে ব্লক পাওয়া যায়৷ পরে চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। গত বছরের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার হার্টের বাইপাস সার্জারি হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস ও সিভিল সার্জন মুমিনুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
তন্ময় দাস জানান, জেলা থেকে ২১ জনের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের রেজাল্ট হাতে পেয়েছি, সবাই করোনা নেগেটিভ। এ সময় যাদের নেগেটিভ এসেছে আগামী এক সপ্তাহ পরে তাদের আবারও পরীক্ষা করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এমইউএম/এএটি