শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রমজান শুরুর প্রাক্কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মোবাইলে তিনি এসব কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসাধীন আছেন।
রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূ ও নাতনিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে এবং কোরআন তেলাওয়াত ও তসবিহ পাঠসহ বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
গত ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে সরাসরি গুলশানের বাসায় (ফিরোজা) উঠেন তিনি। বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ওই ১৪দিন শেষ হওয়ার পর থেকে এখনও তিনি কোয়ারেন্টিনেই আছেন।
লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সবকিছু তত্ত্বাবধান করছেন। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, অ্যাকচুয়ালি ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতা পূর্বের ন্যায়ই আছে। হাত-পায়ের ব্যথা আগের মতোই আছে। আজকে হয়তো একটু ভালো থাকেন, আবার কালকে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। ব্যথা উপশমের জন্য থ্যারাপি দেওয়া হচ্ছে। উনার ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত।
খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ও পরবর্তী অবস্থা নিয়েও উদ্বিগ্ন বলেও জানান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।
গুলশানের ‘ফিরোজা’র গেইটে পাহারারত নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ম্যাডামের বাসায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। শুধুমাত্র চিকিৎসক টিমের সদস্য ও কয়েকজন নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কারও বাসায় প্রবেশের অনুমতি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/