সোমবার (১৫ জুন) সকালেই তার মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা করা হবে বলে জানিয়েছেন কামরান পরিবারের ঘনিষ্টজন যুবলীগ নেতা মেহেদী কাবুল।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন পরিবারের লোকজন।
এদিকে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সোমবার সকাল ৯টায় বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। ওই বৈঠকে মরদেহ সিলেটে আনার পর জানাযাসহ করণীয় বিভিন্ন বিষয় নির্ধারণ করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, করোনা আক্রান্ত কেউ মারা গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং লোকসমাগম না করে দাফন ও জানাযা করার নিয়ম থাকলেও বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন সিলেটের গণমানুষের নেতা। তাই তার জানাযায় অনেক মানুষই চলে আসতে পারে। এক্ষেত্রে কী করণীয় তা নির্ধারণে বৈঠকে বসবেন তারা। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
রোববার (১৪ জুন) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামরান।
কামরানের এপিএস সহকারি বদরুল ইসলাম বলেন, প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর তিনি (স্যার) অনেকটা সুস্থবোধ করছিলেন। রোববার মধ্যরাত থেকে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। এরপর ভোরের দিকে তিনি মারা যান।
গত ০৫ জুন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কামরানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিন রাত থেকে প্রথমে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হলেও ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়াতে রোববার (০৭ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার দেহে করোনাজয়ী কারো ‘এ’ পজিটিভ রক্তের সংগৃহীত প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়।
তাঁর স্বজনরা জানান, হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর পরই বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। রোববার মধ্যরাতে শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি মারা যান।
এর আগে গত ২৭ মে কামরানের স্ত্রী আসমা কামরানেরও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
এনইউ/এমআরএ