সোমবার (২৯ জুন) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ওপর ফি আরোপ করার সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর।
‘অথচ আমরা দেখতে পেলাম সরকার প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে উচ্চমূল্যে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিলো। বেসরকারি হাসপাতালগুলো ৩ হাজার ৫০০ টাকার মতো উচ্চমূল্য নিয়েও সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না। যে যত পারছে তত নিচ্ছে। সরকার তা নিয়ন্ত্রণের কোনো চেষ্টাই করেনি। উপরন্তু এখন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ওপর ফি আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকট চরমে। মানুষের ঘরে খাবার নেই। সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। ফলে দলে দলে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করছে। প্রয়োজনের তুলনায় পরীক্ষাও হচ্ছে খুবই অল্প। এরমধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ’
তিনি বলেন, ‘সরকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সব রকম দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে, এ করোনা পরিস্থিতি কেন্দ্র করে পুঁজিপতিদের মুনাফা করার সুযোগ করে দিয়েছে। জনগণের কোনোরকম দায়িত্ব না নিয়ে সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। ’
‘আমরা অবিলম্বে এ ফি প্রত্যাহার করার এবং করোনা চিকিৎসার সব রকম দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ’
এক পরিপত্র জারি করে সরকার সোমবার করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য বুথ ও হাসপাতালে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। অপ্রয়োজনীয় টেস্টের প্রবণতা কমাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই পরিপত্রে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
ইইউডি/এফএম