দলটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বুধবার (১ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
লঞ্চডুবিতে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তি প্রদান এবং নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, এমনিতে দেশে করোনা মহামারির প্রকোপে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। তার মধ্যে লঞ্চডুবিতে এত মানুষের মৃত্যু (৩৪ জন) খুবই মর্মান্তিক।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনো ব্যাপার ছাড়াই এই ধরনের একটি দুর্ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিল যে, কত দুর্বল ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে ফিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী লঞ্চ, অনুমোদনহীন চালকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো উদ্যোগই নেয়নি। বুড়িগঙ্গায় নৌযান চলাচলে যদি যথাযথ ব্যবস্থাপনা বজায় থাকত, তাহলে এ ধরনের ঘটনা হওয়ার কথা নয়। ফলে এটাকে শুধু দুর্ঘটনা বললেই হবে না। এর পেছনে সরকার ও দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অবহেলাই দায়ী।
মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, আমরা এ কারণেই দেখতে পেলাম লঞ্চডুবির উদ্ধারকার্য সম্পাদন করতে প্রায় এক দিনেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। পরিকল্পনার কত বড় ঘাটতি হলে উদ্ধারকারী জাহাজ নদীর ব্রিজ অতিক্রম করে ঘটনাস্থলে আসতে পারে না। বরং ব্রিজের একাংশ ভেঙে সেখানেও আরেকটা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।
দুর্নীতি-লুটপাট ছাড়া জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে এ সরকারের কোনো ধরনের মাথাব্যথা নেই। ফলে গোটা দেশে সরকার উন্নয়নের যে মিথ্যা বুলি আওড়াচ্ছে, তা দৃশ্যমান। এই লঞ্চডুবির ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যুই বলে গেলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনে গোটা দেশের মানুষ বিপদ মুহূর্তে কতটা নিরাপত্তাহীন!”
তিনি বলেন, আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সরকার নামেমাত্র দেড় লাখ টাকার যে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে, তা খুবই অপ্রতুল। সরকারের কাছে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
ইইউডি/এএটি