তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমে স্বাভাবিক অক্সিজেন, আন্ডার প্রেসার অক্সিজেন এবং প্রয়োজন হলে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে লাইফ সার্পোট দিতে হয়। ঢাকার কিছু হাসপাতাল ছাড়া দেশের বেশির ভাগ জায়গায় এই সহায়তা নেই।
রোববার (০৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা শেষে জিএম কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনায় মৃত্যুহার কমে গেলে সাধারণ মানুষের ভয়-ভীতি দূর হবে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ফিরে আসবে, অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাবে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল কাজ-কর্ম করতে পারবে। দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, সংক্রমণ কমাতে হলে শনাক্ত করার বিষয়ে আরো জোর দিতে হবে। প্রতিটি জেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এতে মানুষ নিজেদের প্রচেষ্টায় আইসোলেশনে যেতে পারবে। এতে সংক্রমণ আরো কমে যাবে।
বৈঠকে ১৪ জুলাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি চুড়ান্ত করা হয়েছে। ১৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বিমানযোগে রংপুরে যাবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরে পল্লীবন্ধুর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে যোগ দেবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় পার্টি বনানী অফিসে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। ঐদিন সকাল থেকে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। সকালে সারাদেশে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যরিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী ও দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
এসএমএকে/এমকেআর