সোমবার (৭ জুলাই) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ নিন্দা এবং মুক্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘৯০-এর দশক থেকে সরকার উদারীকরণ নীতির আওতায় একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা বেসরকারিকরণ করেছে। তার অংশ হিসেবে পাটকলও বেসরকারিকরণ শুরু হয়। কিন্তু অন্যদিকে ব্যক্তি মালিকানায় পাটকল গড়ে উঠতে থাকে। বেসরকারি পাটকলগুলোকে বাজার সুবিধা দিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করা হয়নি। এখন লোকসানের সব দায় শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। ’
বিবৃতি আরও বলা হয়, ‘সংকটগ্রস্ত পুঁজিবাদ বেসরকারিকরণের মধ্য দিয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। এর ফলে শ্রমিক ছাঁটাই, মজুরি কমানো ও মূল্য বাড়ানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনজীবনে চাপ বাড়ছে, মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে শ্রমিকদের ওপর। দিশেহারা শ্রমিকরা যখন বাঁচার তাগিদে রাস্তায় নেমে এসেছে, তখন তাদের ওপর নেমে আসছে নিপীড়ন। ভয়-ভীতি ও গ্রেফতারের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করতে চাইছে। এটা সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণেরই নগ্ন প্রকাশ। ’
শ্রমিকসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায়, পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল ও গ্রেফতার শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে দেশের জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
আরকেআর/এফএম