ঢাকা: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্টের মূলহোতাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা হয়েছে, তারা কিন্তু বসে নেই।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে নানক বলেন, আমি তখন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে সময় আমি ঢাকায় এসেছিলাম। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আসার কথা ছিল। সেজন্য আমি ঢাকায় এসেছিলাম। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশ সাজ সজ্জিত করা হয়েছে। কারণ সকালে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তখন শেখ কামাল ভাইয়ের সঙ্গে সেখানেই আমার শেষ কথা হয়। কামাল ভাই আমাকে দেখে বললেন, আমার বিভাগ দেখেছো। আমি বললাম, দেখিনি, দেখবো। পরে উনি, আমি তৈরি হয়ে আসি বলে বাসার উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন। আমরা উনাকে সালাম দিলাম, এ সালাম বিনিময়ের পরেই উনি চলে গেলেন। পরে আমি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে বন্ধু কাশেমের রুমে গিয়ে রাতে থাকলাম। সেখানে গিয়ে ঘুম আর হলো না। কারণ ভোর বেলাই যাব আমরা, বঙ্গবন্ধু আসবেন। আমরা হৈ চৈ করছিলাম। এরমধ্যেই শুরু হলো গুলোগুলির শব্দ, কামানের গোলার শব্দ। ধুম-ধুম আওয়াজ হচ্ছে। এতে আমরা হতচকিত হয়ে খবর নিতে শুরু করলাম। এরমধ্যেই খবর ছড়িয়ে পরলো যে, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই কেউ রেডিও ধরলো। তখন রেডিওতে বললো, আমি মেজর ডালিম বলছি, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো শোনার পরে আমি ও আমার বন্ধু কাশেম বেরিয়ে গেলাম আব্দুর রব সেরিনিয়াবাত সাহেবের বাসায়। আমরা ওখানে গিয়ে দেখি সব ধ্বংস হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২০
এসকে/আরবি/