ঢাকা: জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধু প্রথম আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখানোর কথা উল্লেখ করে ‘বঙ্গবন্ধু, জ্বালানি নিরাপত্তা ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারের বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, জ্বালানি নিরাপত্তা ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনার আলোচকরা এ কথা বলেন।
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ অঞ্জন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনন সংস্থা লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস সংস্থা লিমিটেডের পরিচালক মো. তৌফিকুর রহমান তপু, তিতাস গ্যাস সংক্রমণ ও বিতরণ সংস্থা লিমিটেড ঢাকার মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
ভার্চ্যুয়াল এ আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ইঞ্জিনিয়ার্স, অস্ট্রিলিয়ার প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী খন্দকার এ সালেক।
আলোচকরা বলেন, ৯ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাত্র ৬ দিন আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্বালানি নিরাপত্তায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুই প্রথম আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখিয়েছেন।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করার জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৯ আগস্ট ১৯৭৫ বহুজাতিক কোম্পানি শেলওয়েলের কাছ থেকে সাড়ে ৪ মিলিয়ন পাউন্ড তখনকার সময়ে ১৭ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা দিয়ে দেশের ৫টি ক্ষেত্র কিনেছিলেন। তিতাস, বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাস টিলা কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান করেন।
আলোচকরা বলেন, বিপুল পরিমাণ গ্যাসের মজুদ সমৃদ্ধ গ্যাস ক্ষেত্রগুলো এত সস্তায় কিনে নেওয়ার ঘটনা বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের পরও বর্তমানে দেশের ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ জ্বালানি নামমাত্র মূল্যে কেনা এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য সাড়ে ১২ লাখ কোটি টাকা।
তারা আরও বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন যে শিল্পায়ন বা উন্নয়ন করতে হলে জ্বালানি সরবরাহ করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু আরেকটি বিষয় মাথায় রেখেছিলেন জ্বালানির জন্য বিদেশ নির্ভরতা কমানো। নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই তিনি পেট্রোবাংলা এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
এমইউএম/এইচএডি