ঢাকা: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর উপর হামলাকে পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওয়াহিদা খানমের মতো উপজেলা পর্যায়ের একজন সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তার উপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও পৈশাচিক হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, এই সরকার দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, দুস্কৃতিকারীরা যেই হোক ইতোপূর্বে যদি তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হতো তাহলে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রমণের শিকার হতেন না। হত্যা, খুন, জখম, টাকা পাচার, মানব পাচার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোপাট, টেন্ডারবাজী ও জবরদস্তি কায়েমের মতো অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুস্কৃতিকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরই সর্বশেষ শিকার হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম।
তিনি আরও বলেন, যে দেশে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্ত্রাসীদের দ্বারা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সেদেশে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা কত অনিশ্চিত তা ব্যাখা করে বলার কোনো অবকাশ নেই। নির্মম এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমার জানা নেই। ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে ওয়াহিদা খানমকে গুরুতর আহত করার ঘটনা নিঃসন্দেহে একটি রাষ্ট্রের জন্য অশুভ সঙ্কেত। আমি দুস্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ওয়াহিদা খানমের পরিবারবর্গ ও নিকটজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা ওমর আলীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।
বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে আনা হয় ঢাকায়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
এমএইচ/এইচএডি