ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ছুটে যান।
এ সময়ে বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক চলে যাওয়ায় আইন জগতে বড় ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে, এই ক্ষতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন। তিনি বলেন, তার মতো আইনজীবীর এখন খুবই অভাব। তার অভাব আমরা অনুভব করছি। তিনি সবসময় নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদেরকে আইনি সহায়তা দিয়ে গেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সারা জীবন যে আয় করেছেন, তার একটা বড় অংশ মানুষের সেবার জন্য ব্যয় করেছেন। এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছিলেন, ক্যানসার হাসপাতালে তার বিরাট অবদান আছে। ডায়াবেটিক হাসপাতালের পুরো আইসিইউ তিনি করে দিয়েছেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ অনেক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছেন।
এক-এগারোর সময় ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াইয়ের শীর্ষ আইনজীবী ছিলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আদ-দ্বীন হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রফিক-উল হক।
সকাল সাড়ে ১০টায় আদ-দ্বীন হাসপাতাল জামে মসজিদে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আদ্-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের পরিচালক, সদস্য, চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পল্টনে নিজের বাসায়। সেখানে দুপুর ১টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
এমএইচ/এএটি