ঢাকা: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটিই আমাদের গর্ব ও একমাত্র পরিচয়।
রোববার (২৫অক্টোবর) দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ। দূর্গাপুজা বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আবহমান কাল ধরেই এই উপমহাদেশে উৎসবটি আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে। যে কোনো ধর্মীয় উৎসবই সাম্প্রদায়িক ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন সূচনা করে। দূর্গাপুজার উৎসব সবার মধ্যে নিয়ে আসে আনন্দের বার্তা। এই উৎসব বাংলাদেশের একটি শ্বাশ্বত সার্বজনীন উৎসব, জাতি-রাষ্ট্রের সর্বমানুষের মিলন ক্ষেত্র। বিএনপি আবহমানকালের ঐতিহ্যের ধারায় ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ নীতিতে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাংচুর অত্যাধিক মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। বর্তমানে দুর্গাপুজার প্রাক্কালে দেশের কয়েকটি স্থানে প্রতিমা ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনা উদ্বেগজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনা মহল বিশেষের মদদ ছাড়া অসম্ভব। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করছে। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক সীমানা অতিক্রম করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে এক বৃহত্তর শুভেচ্ছার প্রাঙ্গনে মিলিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এমএইচ/এমআরএ