ঢাকা: ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন প্রচারণা চালাতে পারবো।
সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরখান মাজার থেকে গণসংযোগ শুরুর কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বাধায় তা করতে না পেরে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের মালেকাবানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন, আইচি হাসপাতাল, মহিলা ও শিশু হাসপাতাল, পল্লী বাজার এলাকায় গণসংযোগ শেষে পলওয়েল শপিং মলের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মিটিং করেছিলাম। তিনি আমাদের কথা দিয়েছিলেন ২৭ অক্টোবরের পর থেকে আপনারা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যেখানে যেভাবে কর্মসূচি দেবেন তা করতে পারবেন। কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমরা শুধু দেখেছি, সিইসি আমাদের যে কথা দিয়েছিলেন তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করেন, এলাকায় যদি গণসংযোগ করতে না পারি, জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কোনো রকম বিশৃঙ্খলা হবে না, আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে-তা আমরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এলাকায় ভোট চাইতে পারবো না, এলাকায় গণসংযোগ করতে পারবো না, তাহলে আমাদের সিইসির কার্যালয়ে বসে থাকা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশ আওয়ামী লীগ বাধা দিলেও শান্ত থেকেই গণসংযোগ কর্মসূচি করতে হবে। আপনারা দেখছেন, আমরা যেখানে কর্মসূচি দিচ্ছি, সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা কর্মসূচিসহ নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। তা সত্ত্বে আমারা যেখানে যাচ্ছি ধানের শীষের পক্ষে জনসমুদ্র হয়ে যাচ্ছে। শক্তি সামর্থ্য ও জনসমর্থন থাকার পরও আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি এবং সে পথেই আছি।
উপস্থিত নেতাকর্মী ও ভোটারদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের ভোট। এখান থেকেই গণতন্ত্রের যাত্রা, ভোটাধিকারের যাত্রা এবং বিএনপির বিজয়ের যাত্রা শুরু হবে।
ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের লোকজনের নানা অপকর্ম তুলে ধরে বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা দেখেছি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে প্রশাসনের একজনকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। বহু নেতাকর্মীকে গুম, খুন করা হয়েছে, মা-বোনদের নির্যাতন করা হয়েছে, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমরা কী এসব আরও চাই? তখন পথসভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা সবাই এক সঙ্গে বলেন, না, চাই না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস