ঢাকা: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় এটা কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড নয়। বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের মূল লক্ষ্য।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু
এক ভিডিওবার্তায় একথা বলেন।
আমির হোসেন আমু জানান, ওইদিন রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথম ব্রাশ ফায়ারের শব্দ শুনতে পান। পরবর্তীসময়ে ২০ মিনিট পর আবারো ব্রাশ ফায়ার। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কাতরানোর শব্দ শুনে জাতীয় সব নেতার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘাতকরা আবারো ব্রাশ ফায়ার করে এবং বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। জেলের ভিতরে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড বিরল ঘটনা।
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়, তারই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে জাতীয় চার নেতা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেই অবদান কোনোদিন ভোলার নয়। ’
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে গলা টিপে হত্যা করে। পরবর্তীসময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন, বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তার আসল চেহারা উন্মোচন করে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এসকে/এএ