ঢাকা: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের উসকানি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা যাতে নষ্ট হয় সে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
কাদের বলেন, বিএনপি মুখে মুখে গণতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে। সরকার নাকি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়। ২১ আগস্ট ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে শেখ হাসিনা আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন- তাদের বক্তব্যের অর্থতো এরকম দাঁড়ায়। দেশে স্থিতিশীলতা না থাকলে ক্ষতিতো আমাদের। আমরা কেন স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে যাবো।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের উসকানি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উসকানি আছে কিনা সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনাটি সরকার নিজেই ঘটিয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমি যদি বলি, বিএনপি তৈরি করেছে? ঘটনাটি বিএনপিই ঘটিয়েছে। বিএনপি এখানে উসকানিতে আছে কিনা আমরা দেখছি। তারাতো কোনো আন্দোলন নিজেরা করতে পারে না। তাদের নেত্রীর জন্য কোনো একটি বিক্ষোভ মিছিলও আজ পর্যন্ত করতে পারেনি।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দিয়ে খালেদা জিয়াকে প্রথমে ছয় মাস, পরে আরো ছয় মাস তার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দিয়েছেন শারীরিক বা মানবিক কারণে। এখানেতো বিএনপি আন্দোলন করে চাপ দিয়ে সরকারকে বাধ্য করেছে- একথাটা মির্জা ফখরুলের বলার কোনো সুযোগ নেই। ’
সেতুমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র এভাবে আসে না। গণতন্ত্রের নানা দিক আছে। গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত, কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাকিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রে বিরোধীদল অপরিহার্য। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেব নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়ে তিনি পদত্যাগ করলেন। অথচ তাদের দলের আর একজনকে মনোনয়ন দিলেন। এটা কেমন গণতন্ত্র?
‘আজ মির্জা ফখরুল যদি সংসদে থাকতেন তাহলে বিরোধীদলের কণ্ঠস্বর আরো উঁচু ও জোরালো হতো, আরো বার্তা যেত ভালোভাবে। তিনি পার্লামেন্টে গেলে আরো অনেক ভূমিকা রাখতে পারতো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭,২০২০
জিসিজি/এএ