ঢাকা: আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিশ্বাস করে না বলেই তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে অপমান করে এবং গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না বলে তারা গণতন্ত্রের নেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আজ আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে একটি ফ্যাসিবাদী স্বৈরতান্ত্রিক দল এবং সরকারে পরিণত হয়েছে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, পাঁচশ’র বেশি মানুষ গুম হয়ে গেছে, হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ নিহত হয়েছে। আজ দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে জনগণ আজকের দিনে আবার নতুন করে শপথ নিয়েছি যে, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তারা অবশ্যই দেশকে মুক্ত করবে, মানুষের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। তাই একটি নিরপেক্ষ সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এবং গণতন্ত্র ধ্বংস করে মানুষের যে মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, তার যে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা, তাকে ধবংস করে দিয়ে আজকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার চেতনাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে। ’

এর আগে সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করার পর বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান শিমুল, আকরামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগরের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশারসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দেন।

অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতানা সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, নারী দলের হেলেন জেরিন খান, তাঁতি দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, জাসাসের শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এনতাজ হোসেন প্রমুখ নেতারা নিজ নিজ দলের পক্ষে জিয়ার কবরে ফুল দেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার নিয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও সালাম লও সালাম’ স্লোগান দিয়ে সমাধিস্থলে সমবেত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
এমএইচ/এফএম