ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের নেতার দিকে গোটা জাতি তাকিয়ে আছে পরিবর্তনের জন্যে তার নেতৃত্বে দেশের জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

এটা অত্যন্ত জরুরি। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে কোনো দিন কোনো আন্দোলনই সফল হয় না। তাদের জাগরণের মধ্য দিয়েই অতীতে দেশের সব বিজয় আমরা অর্জন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি সেই জাগরণের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবো।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৪৯ বছর পরে গোটা জাতি আজ বিভক্ত। বিভাজন শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, প্রশাসনিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও। এখন আর কেউ আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে বিএনপির বা অন্য দলের কারো বিয়ের কথাও চিন্তা করে না। দিজ ইজ দ্য রিয়ালিটি। আজকে সর্বক্ষেত্রে আমরা এটা দেখছি।

তিনি বলেন, আজকে একদলীয় শাসনব্যবস্থার যে ছদ্মবেশ, এ ছদ্মবেশ থেকে দেশকে বের করে আনতে হলে, জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।  

সম্প্রতি প্রশাসন ও বিচার বিভাগের বিচারকদের রাজপথে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য যখন আমরা দেখি প্রশাসনিক কর্মকর্তা যাদের বেতন হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে, সেটা সব ধরনের প্রশাসনের কথা বলছি আমি। তারা যখন রাজপথে বিভিন্ন জায়গায় একটা বিশেষ দলের পক্ষে সভা করেন, মিছিল করেন, কথা বলেন এবং জনগণকে ধমক দেন। এ যে জনগণকে ধমক দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা এটা পুরোপুরি স্বৈরতন্ত্র। আজকে সেই ফ্যাসিবাদ দেশে চেপে বসেছে। সেই ফ্যাসিবাদকে সরাতে হলে, স্বৈরতন্ত্রকে সরাতে হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।