ঢাকা: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তারাই নষ্ট করেছে এবং এখনও তাই করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপ) উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা আজ বিপর্যয়ে নৈতিকতার অবক্ষয় বিপন্ন মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) কথায় কথায় বলেন সাম্প্রদায়িক শক্তি রুখে দিব। কথায় কথায় বলেন পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পরাজিত শক্তি কারা? সাম্প্রদায়িক শক্তি কারা? একটি দল, একটি গোষ্ঠী। তারা যদি দেশে বিভাজন সৃষ্টি করে তারা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে আলাল বলেন, লোহাকে কেউ ভাঙতে পারে না। কিন্তু লোহা নিজে নিজে ক্ষয় হয়ে ভেঙে যায়। লোহায় যখন মরিচা পড়া শুরু হয়। তখন সেই লোহা আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়। একটা সময় কয়েক টুকরো হয়ে যায়। আপনার আওয়ামী লীগের সেই লোহায় মরিচা ধরেছে। আপনার মহানুভব আওয়ামী লীগে জং ধরেছে। এক সময় কয়েক টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে যাবে, যেভাবে পঁচাত্তরে ভেঙে পড়েছিল। আপনি ৮১ তে না আসলে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খোঁজা লাগতো আওয়ামী লীগ কোথায় আছে। নিজেদের দিকে একটু ভালো করে তাকান।
‘বন্ধুর মতো শত্রুদের সঙ্গে যারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে কোনো কিছুর বিনিময়ে আপোষ করে, তাদের কাছে বিজয়ের স্বাদ পাওয়ার কোন উপায় নেই। আজ বাংলাদেশের অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে তাই। ’
তিনি বলেন, মার্চের ৮ তারিখে কোভিড-১৯ ঘোষণা করা হলো। যাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি সেই মাসের ২৪ তারিখ প্রথম ও শেষ মিটিং করেছে। এর মাঝখানে যে দুর্নীতি, লুটপাট, ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করা, বিদেশের কাছে খাটো করা, কোন ব্যাপারেই তাদের ঘুম ভাঙেনি। তারা তাদের নেত্রীর মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে বসে আছে। যে কারণে সাহেদরা তৈরি হয়েছে, সাবরিনা তৈরি হয়েছে, মিঠু তৈরি হয়েছে, তোফাজ্জল তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ড্রাইভারকে দেখে বিসিএস কর্মকর্তা বলেন, ক্যাডার হওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ড্রাইভার হলেই ভালো হতো। বিজয়ের ৫০ বছরে এসে এসব আমাদেরকে তারা উপহার দিয়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ সবাই মিলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে দেশের গণতন্ত্র হরণ হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ সবাই মিলে সেই গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে আমরা বলতে পারবো স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে কিছু একটা পেয়েছি।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কেএম তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যর আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
এমএমআই/এইচএমএস