ঢাকা: ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য নয়, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্ণচোরা আর গোপন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারণে জনগণ মনে করে ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুশিলব বিএনপি।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) নওগাঁর মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন।
‘সরকার দেশকে বিরোধী দলহীন করার চেষ্টা করছে, বিএনপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন’ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও মজবুত করতে সরকার শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল বিরোধী দল চায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাজনীতির জন্যই জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে বিএনপি প্রকারান্তরে নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে এখন দুর্দিন নেই, ভয়াবহ দুর্দিন চলছে আপনাদের (বিএনপির) রাজনীতিতে। বিএনপির রাজনৈতিক মনস্তত্ব এখন দুর্দশাগ্রস্ত। হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার অপচেষ্টা না করে বাস্তবতা মেনে ও দেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ ও অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, অর্জন করেছে ঈর্ষনীয় প্রবৃদ্ধি। গ্রাম হতে শহরের প্রতিটি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, দেশে কোনো একদলীয় শাসনব্যবস্থা নেই, আছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আছে কার্যকর সংসদ অথচ বিএনপি মহাসচিব তথাকথিত একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অসলে বিএনপির উন্নয়ন ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকেই ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কাদের বলেন, বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে গোপন সখ্যতা গড়ে তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। এদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চ্যালেঞ্জ করা হয় তখনও বিএনপি প্রকাশ্যে একটি বাক্য বলারও সাহস দেখাতে পারেনা, অথচ তারা বলে দলে নাকি মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি।
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না’ বলে আবার স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দিলে তারা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে, দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে, তাই এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ অনেক কঠোর। দল করতে হলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
এসকে/এনটি