ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচন: প্রার্থী বাছাই নিয়ে আক্ষেপ ঝেড়ে উচ্ছসিত আ’লীগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচন: প্রার্থী বাছাই নিয়ে আক্ষেপ ঝেড়ে উচ্ছসিত আ’লীগ

খাগড়াছড়ি: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হলেন নির্মলেন্দু চৌধুরী। তিনি খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এতে উচ্ছসিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্টিত হবে এই নির্বাচন।

 

দ্বিতীয় দফার ৬১টি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকায় তার নাম রয়েছে। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 
এদিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরুতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা ব্যক্তির নাম দলীয় প্রার্থীর তালিকায় থাকায় দলের ভেতর অসন্তুষ্টি দানা বাঁধে। তবে সর্বশেষ নির্মলেন্দু চৌধুরীকে মনোনিত করায় আক্ষেপ ঝেড়ে উচ্ছসিত তৃনমুল।

 

গত ৫ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই সংক্রান্ত বিশেষ বর্ধিত সভা করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ। সভা থেকে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্ভাব্য ৩ মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও আলোচিত বর্তমান মেয়র রফিকুল আলমের নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।

 

মূলত বর্তমান মেয়র রফিকুল আলমের নাম প্রস্তাব করায় ক্ষোভ এবং অসন্তুষ্টি দানা বাঁধে। কারণ বিগত দুই পৌর নির্বাচনে রফিক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিলেন। সর্বশেষ গেল পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন। রফিকুল আলমের বাহিনীর হামলা মামলায় জর্জরিত হন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমান আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরীও রফিকুল আলমের লোকজনের হাতে হামলার শিকার হন।

 

সেবার নির্বাচনে ছোট ভাই রফিকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ হারান জাহেদুল আলম। শুধু তাই নয় ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তার বড় ভাই জাহেদুল আলমের পক্ষে সরাসরি নির্বাচনও করেন তিনি।

 
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
এডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।