নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ১৭ সমর্থকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খান তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত মামলাটি আমলে নেন।
এর আগে রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় নিয়াজুল ওই মামলার আর্জি আদালতে পেশ করেন। এর আগে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে মেয়র আইভীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে যে মামলা করা হয় সে মামলার প্রধান আসামি ছিলেন নিয়াজুল। ওই মামলায় নিয়াজুলসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয় যারা পরে সবাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- আবু সুফিয়ান (জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ (সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর), অসিত বরণ বিশ্বাস (১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর), কামরুল হুদা বাবু (শহর যুবলীগের সহ সভাপতি), কবির হোসাইন (কাউন্সিলর ১৮নং ওয়ার্ড), আহমেদ আলী রেজা উজ্জল (মেয়র আইভীর ভাই ও শহর যুবলীগের সেক্রেটারি), আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক মাসুম (নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাসুম), জাহাঙ্গীর আলম (জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক), সরকার আলম (যুবদল নেতা), হাজী নেওয়াজ, সৈকত মেম্বার, মোতালিব, ফারুক ও লিপু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল কাদির মিমন ও কাউন্সিলর মো. হান্নান সরকার।
২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার উচ্ছেদ নিয়ে শহরে হকারদের সঙ্গে মেয়র আইভী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেদিন নিয়াজুলসহ আহত হয় প্রায় অর্ধশত। সংঘর্ষের সময়ে চাষাঢ়ায় সায়াম প্লাজার সামনে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করা হয় নিয়াজুলকে। এসময় খোয়া যায় নিয়াজুলের লাইসেন্স করা অস্ত্র। পরে সেটা উদ্ধারও হয় পরিত্যক্ত অবস্থায়।
ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি মেয়র আইভীর ভাই ও সমর্থকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অস্ত্র ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার লিখিত অভিযোগ দেন যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহামিদা খাতুনের আদালতে সকাল পৌনে ১১টায় মামলাটি ফাইলিং করা হয়। আইনজীবী সমিতির সভাপতি মহসিন এ মামলার ফাইলিং করেছেন। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) আদালত মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ মার্চ নির্ধারণ করেন।
নিয়াজুল অভিযোগ করেন, বিবাদীরা নিয়াজুলকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা পিস্তল ছিনিয়ে নেয়। এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, নগদ ২ লাখ টাকাও নেয়। বাঁচতে চাইলে সুফিয়ান, উজ্জল, বাবু ও মিমন হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে পেটায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি নিয়াজুলের পক্ষে তার ভাই রহমান ইসলাম খান ওরফে রিপন খান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে একই ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এমকেআর