ঢাকা: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নিজেদের দলের মধ্যে যে গ্রুপিং আছে তা বন্ধ না হলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না। এ সরকারকে হটাতে হবে-ওয়াদা করি প্রতিদিন।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, যতদিন এ ধরনের গ্রুপিং থাকবে ততদিন আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। ফাস্ট অব অল- স্ট্রাগল ফর ইউনিটি। অর্থাৎ দলের মধ্যে আমাদের শক্তি যতটুকুই আছে ওইটুকুকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সংগ্রাম করি। তারপরেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুভমেন্টটা করবো। এটা আমার কথা নয়, মাও সেতুংয়ের কথা।
তিনি বলেন, জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, দেশ থাকবে, দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে। জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয় গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে। গণতন্ত্র যদি নিশ্চিত করতে পারি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দেশের ১৮ কোটি মানুষই মুক্তি পাবে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সত্যকে স্বীকার করার সত্য সাহসের প্রয়োজন সেটা আওয়ামী লীগের নেই। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন তখন আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই অবলোক মস্তকে বিনা প্রতিবাদে, বিনা প্রশ্নে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। কেন তাকে প্রশ্ন করেনি আপনি কে? কারণ জনগণের মনের কথা জিয়াউর রহমান বলেছেন। সেজন্য জিয়া এদেশের কোটি জনতার কাছে আত্মার আত্বীয়।
কৃষক দলের আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও দলের সদস্য এস কে সাদীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, উলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাহ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুস রহিম, কৃষক দলের নাসির হায়দার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস