ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি

ঢাকা: ৩০ ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। একই কর্মসূচি সারাদেশেও পালন করবে দলটি।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা জানান।

রিজভী বলেন, বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া ওই দিন দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে দেয়নি। প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের জন্য যে দলীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং উদার সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রবণতা অপরিহার্য, তা আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি।

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে। তাই ৩০ ডিসেম্বর দিনটিকে দেশবাসী ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। পৃথিবীর ইতিহাসে অভাবনীয় রেকর্ড সৃষ্টিকারী রাতে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করে ক্ষমতা ‘দখলের’ দুই বছর পূর্ণ হবে মঙ্গলবার রাতে। তাই ওই রাতটি দেশবাসীর কাছে তাদের ভোটাধিকার হরণের কালো রাত হিসেবে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে।
 
অভিনব ও নজীরবিহীন নিশিরাতের নির্বাচন করে অনুশোচনার বালাই নেই বরং গত পরশু দিন ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল। আদিম মানুষেরা নরবলি দেওয়ার পর মৃতদেহ নিয়ে যেভাবে উল্লাস করতো, ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য যেন গণতন্ত্র হত্যা করে সেই ধরনের উল্লাসেরই বহিঃপ্রকাশ। গণতন্ত্র হত্যা করে গণতন্ত্রের প্রতি এহেন শ্রদ্ধাহীন স্পর্ধার সংস্কৃতিতে দেশবাসী আজ চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ, যোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদার নেতৃত্বে যে কমিশন, সে কমিশনের অধীনে আজ পর্যন্ত একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। মানুষের ভোটের অধিকারকে এ কমিশন শুধু হরণই করেনি বরং মহান স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তারা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এ ভূমিকা জনগণের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দয় মনোবৃত্তির সারাংশ মাত্র। দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করে ইসির ভোট ডাকাতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির যে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং তাদের বিচার দাবি করেছেন-এ দাবি দেশের ১৬ কোটি মানুষের দাবি।
 
আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ফেনী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। পুলিশ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি দুলাল ভূইঁয়াকে সোমবার রাতে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। আমি তাকে গ্রেফতার করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি, যোগ করেন রিজভী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
এমএইচ/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।