ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। একদিকে করোনার আক্রমণ, অন্যদিকে একটা ফ্যাসিবাদী এক নায়কতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সরকারের সমস্ত রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়া, জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, এটাকে প্রতিরোধ করে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা একটা অত্যন্ত বিরূপ প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আছি। এই বিরূপ প্রতিকূল অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ আমাদের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব দেখিয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ যে বক্তব্য দিয়েছেন- এটা আমাদের সেই দিক নির্দেশ করে, যেই দিক নির্দেশের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো। আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো। আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি সুখী, সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, মানুষের বাংলাদেশ, আলোকিত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।
জিয়াউর রহমানকে ক্ষণজন্মা পুরুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, একদলীয় বাকশালী অন্ধকার থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আদলের মধ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া- এগুলো ছিল জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বড় কৃর্তি। আমি মনে করি, জিয়াউর রহমান আমাদের সামনে সব সময় উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো থাকবেন। সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রকে লক্ষ্য করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো।
বিএনপির উদ্যোগে দলের জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত সাড়ে ৫ ঘণ্টাব্যাপী চলে। ভার্চ্যুয়াল এই আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য দেন। সারা দেশের মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়ে এই আলোচনায় অংশ নেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে দেশ বিনির্মাণে যে যে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান সফল। এর জন্য তারা জিয়াউর রহমান, তার পরিবার এবং তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপিকে ভয় পায়।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বরিশাল মহানগরের মজিবুর রহমান সারোয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের হাবিব উন নবী খান সোহেল, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, চট্টগ্রাম মহানগরের আবুল হাশেম বক্কর, উত্তরের গোলাম আকবর খন্দকার, সিলেট মহানগরের নাসিম হোসাইন, কুমিল্লা মহানগরের হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসীন, রাজশাহী মহানগরের মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, যশোরের অধ্যাপক নার্গিস বেগম, লালমনিরহাটের আসাদুল হাবিব দুলু বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া দলের অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, বীর মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এমএইচ/এসআরএস