ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘১৯৫২ সালে মানু্ষের অধিকারের জন্য বীর বাঙালিরা সংগ্রাম করেছিল। আজকে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপিকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি যদি দুর্বল হবে তাহলে ২৯ তারিখ রাতে আপনারা ভোট ডাকাতি করেছেন কেন? বিএনপি যদি দুর্বল হবে রাস্তায় আমাদের বক্তৃতা পুলিশ দিয়ে মাঝপথে থামালেন কেন? কারণ আপনারা বিএনপিকে ভয় পান, জনগণকে ভয় পান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলনের জন্য জনগণকে ‘ইস্পাত কঠিন ঐক্য’ গড়ে তুলতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘আজকে ৫০ বছরের প্রাক্কালে আমরা বেদনার সঙ্গে বলতে বাধ্য হই যে, একু্শের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতার প্রত্যাশা ভুলণ্ঠিত। কারা ভুলণ্ঠিত করেছে? আজকে যারা সরকারে তারা শুধুমাত্র গায়ের জোরে স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় থাকার জন্য এভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দলীয়করণ করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে আজকে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত করছে। এ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য লোভে পড়ে আমাদের সব অর্জনকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। ’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘বিরোধীদলকে এ সরকার দাবিয়ে রাখার জন্য সবকিছু করছে। বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখের ওপরে মামলা, ৩৫ লাখের ওপরে আসামি। গুম-খুন-বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকার এ দলের নেতাকর্মীরা। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে একটি বানোয়াট মামলায় আজকে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিম্ন আদালতে খালাস হয়েছেন সেটাকে উচ্চ আদালতে নিয়ে সেই আদালতকে প্রভাবিত করে তাকে আবার সাজা দিয়েছে। ’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
এমএইচ/আরবি