ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুছ কাজল, বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার দুলু, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির মহাসচিব মনজুর হোসেন ঈসা, জাগপা মহাসচিব ইকবাল হোসেনসহ তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী আইনজীবীরা।
এখান থেকে তার মরদেহ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে বেলা ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা হবে।
এর আগে সকাল ৯টায় এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে এক ঘণ্টা রাখা হয় মরদেহ।
নয়াপল্টনের জানাজা শেষে মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নোয়াখালী তার জন্মস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। জুম্মার নামাজের পর দুপুর আড়াইটায় নোয়াখালীর কবিরহাট ডিগ্রি কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৪টায় বসুরহাট কোম্পানীগঞ্জ সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় মরহুমের নিজ বাসভবনের (মানিকপুর কোম্পানীগঞ্জ) সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দাফন সম্পন্ন হবে।
গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান বিএনপির এ বর্ষিয়ান নেতা। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আনা হয়। এরপর রাতে মরদেহ রাখা হয় এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
এমএইচ/আরআইএস