ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার কোনো বিরোধী দল চায় না: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
সরকার কোনো বিরোধী দল চায় না: মির্জা ফখরুল ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শক্তিশালী বিরোধী দল তো দূরের কথা, কোনো বিরোধী দলই চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি গঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন যে, বিএনপির সঙ্গে একসঙ্গে বাস করা যায় না। তার এই বক্তব্যে তাদের আসল যে চরিত্র, তাদের আসল যে মানসিকতা সেটা বেরিয়ে এসেছে। তারা শক্তিশালী বিরোধী দল তো দূরের কথা, কোনো বিরোধী দলই চায় না।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—বিএনপি কারো দয়ার দল না, বিএনপি কারো দয়াতে টিকে নাই। বিএনপি সম্পূর্ণভাবে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে আছে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে। এই কথাটা অবশ্যই সরকারকে মনে রাখতে হবে।

সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতনের জন্য সরকার ও প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে দীর্ঘদিন আটক করে রাখা হয়েছিল, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে প্রায় ৮ মাস যাবত আটক করে রাখা হয়েছে। শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের মতো সম্পাদক দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি বলেন, এখানে আপনারা হিসাব দিলেন যে, প্রায় ৬০ জনের বেশি সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন শুধু জীবনের ভয়ে। আর যারা দেশে আছেন তারা লিখতে পারেন না। লিখতে না পারার জন্য কখনো আমি তাদের দোষারোপ করি না। কারণ, যে ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যে সেলফ সেন্সরশিপ নিজেদের আরোপ করে নিতে হয়েছে—তা হচ্ছে একমাত্র জীবনের ভয়ে, জীবিকার ভয়ে, সন্তান হারানোর ভয়ে, মামলার ভয়ে। কারণ, ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি কীভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ের ভেতরে নির্যাতন করা হলো।

বিএনপি গঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব শ্যামা ওবায়েদের সঞ্চালনায় গোল টেবিল আলোচনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ডিইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বিএফইউজের একাংশের সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।