ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র

ঢাকা: অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি রাষ্ট্র, রাজনীতি, গণতন্ত্র, সমাজনীতি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে ছিলেন পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব।

শনিবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‌দেশের কৃতি অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। রাষ্ট্র, রাজনীতি, গণতন্ত্র, সমাজনীতি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ ছিলেন দেশ ও জাতির গর্বের ধন। এসব বিষয়ে তার দিক-নির্দেশনা ও জ্ঞানগর্ভ বিশ্লেষণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত হয়েছে।

তিনি সব সময় জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের সমর্থক ছিলেন। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।  

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তিনি ছিলেন একজন উঁচু মানের গবেষক, তার গবেষণা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করেছিলো এবং সেজন্য তিনি দেশে-বিদেশেও সমাদৃত ছিলেন। কীর্তিমান ও পণ্ডিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছিলেন। গণতন্ত্র এবং বাক-স্বাধীনতার প্রশ্নে তার সুচিন্তিত ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা মানুষকে চিরদিন অনুপ্রাণিত করবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তাকে রাষ্ট্রশক্তির জুলুমও সহ্য করতে হয়েছে। রাষ্ট্র-সমাজে গণতন্ত্রের বিকাশের অপরিহার্যতা ছিল ড. এমাজউদ্দীন আহমদের চিন্তা, গবেষণা ও মননের অনুষঙ্গ। ঢাবিসহ দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন যারা আজ জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত। একজন বিদ্বান শিক্ষক হিসেবে তিনি জ্ঞানের যে আলো বিস্তার করেছিলেন সেটি তার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অমলিন হয়ে থাকবে।  

তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চায় দেশের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। তার মৃত্যুতে দেশ একজন চিন্তাশীল বিদ্বজ্জনকে হারিয়েছে। আমি ড. এমাজউদ্দীন আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।