ঢাকা: আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় ও লন্ডন প্রবাসী ২০ জন নেতা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিতে যোগদান করেছেন।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে এসব নেতারা দলটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাতে ফুলের তোরা দিয়ে দলে যোগদান করেন।
পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান যোগ দেওয়া নেতাদের তার দলে বরণ করে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
জেনারেল ইবরাহিম বলেন, যারা আজ যোগদান করলেন, তারা সবাই রাজনৈতিক নেতাকর্মী বা সচেতন তরুণ-তরুণী। তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম হলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. শাহেদ চৌধুরী (লন্ডন প্রবাসী), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক আব্দুল আউয়াল মামুন (লন্ডন প্রবাসী)। এছাড়া যারা যোগ দিয়েছেন তারা হলেন নাজমুল হুদা অপু, ওবায়দুল্লাহ মামুন, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ইব্রাহিম খান সাদাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী, নারী উদ্যোক্তা রেখা আকতার, যুবনেতা তাফহীমুল ইসলাম প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, আমি ড. শাহেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং যুগপৎভাবে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত করলাম। এছাড়া আব্দুল আউয়াল মামুনকে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত করছি। উভয়ে এই মুহূর্তে বিদেশে থাকায় সেখানেই উপযুক্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব যিনি আছেন, তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই দাবি করি, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে এবং দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় হবে। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান নিজে রণাঙ্গণের একজন মুক্তিযোদ্ধা, বিধায় কল্যাণ পার্টিতে নেতৃত্বে ও কর্মী পর্যায়ে বহুসংখ্যক সাবেক সামরিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ বিধায়, আমাদের দল আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে সর্বদা সচেষ্ট ছিল, আছে এবং থাকবে।
২০ দলীয় জোট আছে কী নেই-এমন এক প্রশ্নের কৌশলী জবাবে তিনি বলেন, যদি বলি জোট আছে সেটাও সঠিক, আবার যদি বলি জোট নেই সেটাও সঠিক। তবে এ বিষয়ে নেতৃত্বদানকারী বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেহেতু বহুদিন ২০ দলীয় জোটের কোনো কার্যক্রম নেই, তাই জোট আছে কি না সে ঘোষণা বিএনপিকে দিতে হবে।
তবে অনুষ্ঠানে ২০ দলীয় জোটের শরীক দল এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের ও জাগপার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের ছেলে ও বর্তমানে জাগপার ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ প্রধান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কল্যাণ পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির ও ফোরকান ইবরাহিম, সহসভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না, মাহমুদ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির ভূইয়া পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আল-আমিন ভূইয়া রিপন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
এমএইচ/জেএইচটি