ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমতলী পৌর আ’লীগের ১২ নেতাকর্মী কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
আমতলী পৌর আ’লীগের ১২ নেতাকর্মী কারাগারে

বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করার মামলায় আমতলী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ ১২ জন নেতাকর্মীর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মো. নাহিদ হাসান এ আদেশ দেন।

 

আসামিরা হলেন- পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জিএম মুছা ওরফে আবু মুছা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিন খান, যুবলীগ নেতা তানজিল, মিরাজ মিয়া, আল ফাহাদ, রিয়াজ মুন্সী, রুবেল, আশিকুর রহমান আসলাম, কবির ও সবুজ। তারা সবাই আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা। এ মামলায় আ. মালেক খান ও মো. হাচান মৃধা পলাতক ও অপর আসামি রায়হান জামিনে রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আমতলী পৌরসভার মৃত্যু আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ একজন ঠিকাদার।  

চলতি বছরের ২১ মে রাতে আবুল কালাম আজাদ উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট হতে নোমরহাট পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে আসামিরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সকল আসামিরা রামদা- ছেনা দিয়ে আবুল কালাম আজাদের দুই পা, দুই হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে এবং হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আমতলী থানায় পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছাসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের ১৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ দেন। আসামিরা হাইকোর্ট থেকে দুই সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে আজ নিম্ন আদালতে হাজির হয়।

ভিকটিম ও বাদীর মামা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমার ভাগিনাকে সকল আসামিরা চাঁদার দাবিতে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহ আজাদকে বাঁচিয়েছেন। আমার ভাগিনা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। হাত পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।

বরগুনার কোর্ট বারান্দায় আসামি পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, আমতলীর মেয়র রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বাদীর ঘটনার দিন ও সময় আমি আমতলী মাতৃছায়া কাপড়ের দোকানে ছিলাম। সিসি ক্যামেরায় তার প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা জড়িত না থাকলেও আমাদের জড়িত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।