ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৬ দফা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ছিলেন শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
৬ দফা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ছিলেন শেখ হাসিনা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসৈনিক ছিলেন শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও আশ্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুবলীগের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা ছোট বেলা থেকেই সংগ্রামী ও সাহসী ছিলেন। আমরা যখন ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি তখন তিনি আজিমপুর গার্লস স্কুলের ছাত্রী। তিনি সেখানকার ছাত্রীদের নিয়ে মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসৈনিক ছিলেন। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে যখন একটি অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টি করেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দিয়েছেন, যখন কোনো আইনের শাসন ছিল না সেই দুর্বিসহ সময়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন আলোর দিশারী হয়ে।

যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আমির হোসেন আমু বলেন, যুবলীগই ছিল শেখ হাসিনার একমাত্র ভ্যানগার্ড এবং এই যুবলীগই সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে। প্রত্যেকটি আন্দোলন সফল করতে যুবলীগের ত্যাগ ছিল অপরিসীম।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না নিলে আমরা আজ একটা মানচিত্র পেতাম না, একটা পতাকা পেতাম না, জাতীয় সংগীত পেতাম না। শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায় বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না এবং একটা মর্যাদাশীল দেশ পেতাম না। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার করার সংগ্রামে নেমেছিলেন। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তিনি সব দুঃখ-কষ্ট বুকে নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম করে সমগ্র দেশ সফর করে বেড়িয়েছেন।

সভায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত এদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। তারা যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে ৩০ লাখ শহীদকে অপমান করেছিল। যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতের সব অপশক্তিকে রাজপথে প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসরীন আহমাদ।

সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগের পক্ষ থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয় কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনকালে ১০টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় গাজীপুর মহানগর শাখা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান রাসেল সরকারের পক্ষ থেকে দুইটি ঘর দেওয়া হয় মো. ইমান আলী ও প্রেম কুমার দাস।  

এছাড়া গাজীপুর মহানগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলামের পক্ষ থেকে পাঁচটি ঘর দেওয়া হয় তিনজনকে তারা হলেন- ফাতেমা তুজ জোহরা (দুটি), আনোয়ারা বেগম (দুটি), নুর মোহাম্মদ কটু মিয়া।

নরসিংদী জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. শামছুল ইসলাম মোল্লার পক্ষ থেকে একটি ঘর দেওয়া হয় রতন বালাকে, ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের পক্ষ থেকে একটি ঘর দেওয়া হয় বিউটি খাতুনকে, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে একটি ঘর দেওয়া হয় মোসা. খুশবানকে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।