ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে

ঢাকা: সরকারের লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার একজন রাইড শেয়ার চালকের মোটরসাইকেল পুঁড়িয়ে ফেলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির এক দলীয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এরা (সরকার) অর্থনীতিকে ধ্বংস করে পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা অর্থনীতি তৈরি করেছে। একটা লুটেরা সমাজ তৈরি করেছে।  করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ হয়েছে যে, গতকাল একজন যুবক তার মোটরসাইকেল পুঁড়িয়ে ফেলেছেন। কেন পুঁড়িয়েছে? তিনি বলছেন, ‘আমি একটা সিরামিক্সের দোকান করতাম। সেটা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটা মোটরসাইকেল কিনে রাইড শেয়ারিং কাজ করার চেষ্টা করছি। সেখানে আমাকে প্রতি পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে, আমাকে অমুক সার্টিফিকেট লাগবে, অমুক সার্টিফিকেট লাগবে। তার চাইতে পুঁড়িয়ে ফেলি। ’ এটা কখন হয়? যখন হতাশার চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে মানুষ। আজকে সেই অবস্থায় গিয়ে আমরা পৌঁছেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই যে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য ছিল একটা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা এবং একই সঙ্গে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা; যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মূল কথা ছিল, সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এগুলোর জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এই লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বিষয় ভিত্তিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী কর্মসূচি পুনরায় শুরুর বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কান্তি সরকার, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, আমিনুল হক, জহিরউদ্দিন স্বপন, মনীষ দেওয়ান, মার্শেল এম চিরমা, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুর সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।