ঢাকা: সারা বিশ্বে বাংলাদেশ যে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে তা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ প্রেমের জন্য সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী আমাদের শিখিয়েছেন, দেশকে কীভাবে ভালবাসতে হয়।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রাঙ্গণে আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, শেখ হাসিনাকে আমরা যে যার মতো করে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। কারণ তিনি সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে আমাদের সবার শ্রদ্ধা ভালবাসা জয় করে নিয়েছেন। তিনি তার যোগ্যতা দিয়ে কর্মীদের ভালবাসা অর্জন করেছেন। তার সততা ও ত্যাগের উদাহরণ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। অসাধারণ সাহসিকতার অধিকারী আমাদের নেত্রী। আমি কখনো তাকে অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে দেখিনি।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবন থেকে আমরা শিখতে পাই উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, কর্মীদের সঙ্গে সব সময় সৎ ব্যবহার করতে হবে। কর্মীদের দূরে সরিয়ে রাখা চলবে না, মনে রাখবেন সবার আগে কর্মীরাই বুকে গুলি ধারণ করেন। কর্মীরা আছে বলেই আমরা নেতা। পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমরা নেত্রীর কাছ থেকে শিখতে পারি। আমরা যদি আমাদের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাই, আমরা যদি সংস্কার রাখতে চাই, তাহলে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। নীতি আদর্শের ক্ষেত্রে আপস করা যাবে না। আমরা মুখে বলি মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করি কিন্তু আগে বুঝতে হবে মুজিব আদশটা কি। রাজনীতি করার তত্ত্বটা অন্তত পরিষ্কার রাখতে হবে।
ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী সৃষ্টি করতে হবে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, কি সেই আদর্শ? সেই বিষয়টা পরিষ্কার করতে হবে। আমরা বলি মুজিববাদের আদর্শ, তার মানে আমাদের গণতন্ত্র মনা হতে হবে। আমাদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই হবে মুজিব আদর্শ এবং আমাদের দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আমাদের সবাইকে নিয়ে সাম্য সমতার রাজনীতি করতে হবে। শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে হবে। আমাদের দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আত্মতৃপ্তি বা স্বার্থপর হলে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো না। আত্মনির্ভরশীল, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য আমাদের সেই ধরনের নেতা-কর্মী দরকার, যারা অন্যের কথা ভাবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যের যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যার নেতৃত্বে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। সেই প্রিয় নেত্রীর জন্মদিনে মহান আল্লাহর কাছে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছেন। সেই দুর্বিসহ অন্ধকার মুহূর্তে ১৯৮১ সালের ১৭ মে এদেশের মানুষের জন্য আলোক বর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল, আবু মুনির, মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
জিসিজি/এসআরএস