ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের সংকট নিরসনে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই একমাত্র পথ।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশে একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হবে এটাই এখন জনআকাঙ্ক্ষা। জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। কারণ জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। কিন্তু এটা তো সরকার ভুলে গেছে। তারা তো আবারও কে এম নূরুল হুদার মতো কাউকে নির্বাচন কমিশনার বানাবে। তাদের মতো করে নির্বাচন করবে।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের পত্রিকা ও টিভিতে শুধু একজনেরই খবর। এভাবে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রী বা কারো এমন প্রচারণা হয় বলে আমার জানা নেই। এমনকি সুশীল বলে পরিচিত কিছু পত্রিকার কাভার পৃষ্ঠাজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছেপেছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেলো, সেটা নিয়ে তো কথা বলে না। সেই টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া, কানাডায় বেগম পল্লি কেনা হচ্ছে। দুবাই, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল বাংলো কেনা হচ্ছে। কারণ এ দেশে যদি কোনো কিছু ঘটে তাহলে তারা আরব্য রজনীর আলিফ লায়লার মতো সুখে শান্তিতে বিদেশে বসবাস করতে পারবেন। এটাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে গ্রহণযোগ্য সরকার থাকতে হবে। সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে যে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন হবে সেই কমিশনের অধীনে দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন হবে।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে আন্দোলনে নামতে হবে। তবেই জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকার দেশের সব সংস্কৃতি বিনষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের চরিত্রের সঙ্গে না মিললে কারো রেহাই নেই। তা না হলে সম্রাট, পাপিয়া বা জি কে শামীম জেলে কেন? কারণ ভাগাভাগি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বনাবনি হয়নি। আজকে আওয়ামী লীগের মধ্যে গৃহবিবাদ শুরু হয়েছে।
‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন এবং জনআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’। সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী রাহেলা আক্তার রঞ্জু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ