ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২০০০ কোটি টাকা পাচার: ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
২০০০ কোটি টাকা পাচার: ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ঢাকা: ২০০০ কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

 

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আট আসামি হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অব্যাহতিপ্রাপ্ত নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

এ ১০ আসামির মধ্যে রুবেল, বরকত, লেভী ও ফারহান কারাগারে রয়েছেন। অপর ছয় আসামি পলাতক। এদিন আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আগামী ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

এদিকে চার্জশিট গ্রহণ হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন অনুযায়ী ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম এবং মো. জাফর ইকবাল, ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন এবং গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু অব্যাহতি পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা চার্জশিট সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বরকত ও রুবেল অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

আরও পড়ুন:

ফরিদপুরের দুই ভাইয়ের ৫৭০৬ বিঘা জমি ও ৫৫ গাড়ি ক্রোকের নির্দেশ

ফরিদপুরে আ’লীগ নেতা বরকত ও তার ভাইসহ আটক ৯

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
কেআই/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।