ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপরাজনীতির আবর্জনা সরিয়ে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
শেখ হাসিনা’র ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সোনার বাংলা রূপে গড়ে তুলতে ও বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক আসনে নিয়ে যেতে দিনরাত কাজ করছেন। প্রিয় নেত্রীর সেই অদম্য অগ্রযাত্রায় যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। এ সময় উপস্থিত যুবলীগ নেতাকর্মীদের পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শপথ বাক্য পাঠ করান তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে হলে আগে নাগরিক হিসেবে নিজেকে বদলাতে হবে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি, গোষ্ঠী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আশপাশের ঘরবাড়ি, এলাকার ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, এখন ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। আশপাশে জমে থাকা পানি, ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ফেলতে হবে। আর আমাদের সমাজে আরেক ধরনের আবর্জনা আছে। যারা ঘুষ গ্রহণ করেন, অনৈতিক কাজ করেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন, অপপ্রচার-গুজব সন্ত্রাস চালান-সেইসব আবর্জনা পরিস্কারেও যুবলীগকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপরাজনীতির আবর্জনা সরিয়ে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ আমরাই গড়বো।
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির সঞ্চালক ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজকের এই প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে আমাদের একটাই বার্তা- রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যুবলীগকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পরিচালনায় সহায়তা করে বিডি ক্লিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর।
আরও উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, রাজু আহমেদ, মাইদুল ইসলাম, আলামিনুল হক আলামিন, আবদুর রহমান জীবন, আরিফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন শাহ জয়, কামরুল হাসান লিংকন, বাবলুর রহমান, হিমেলুর রহমান, আহতাসামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি, মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, মনিরুল ইসলাম আকাশ, জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন মিন্টু, কায়কোবাদ ওসমানী, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, হুমায়ুন কবির, গোলাম কিবরিয়া, শেখ মাতিন মুসাব্বির সাব্বির, প্রফেসর ড. মো. আরশেদ আলী আশিক, জি এম গাফফার হোসেন, মেহেরুল হাসান সোহেল, রাজু আহমেদ মিরান, মুজিবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ মো. হিরো, মানিক লাল ঘোষ, মুজিবুর রহমান মুজিব, তারিক আল মামুন, এবিএম আরিফ হোসেন, ডা. মো. আওরঙ্গজেব আরু, শেখ মো. তরিকুল ইসলাম, সাজেদুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব, ড. মো. রায়হান সরকার রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
এনএসআর