ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২১
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। শনিবার (২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

এতে উল্লেখ করা হয়, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবিরতা ও দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গঠনতন্ত্র ২৩ ধারা মোতাবেক কুমিল্লা উত্তর ও লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।  

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের যৌথ স্বাক্ষরে যুবলীগের এ জেলা শাখা বিলুপ্ত করা হয়।

২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর সম্মেলনে ভোটের মধ্যমে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপুকে সভাপতি ও সাবেক ৭ নং বশিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। বিগত চার বছরেও জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি তারা।  

বিভিন্ন সময়ে যুবলীগের পদ বঞ্চিতরা কেন্দ্রে নানা অভিযোগ দিয়েছেন এ কমিটির বিরুদ্ধে।  

বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বহুল আলোচিত মেয়র আবু তাহেরের মেঝ ছেলে।  

গত ২১ সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, চট্টগ্রাম সাংগঠনিক দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম।  

এদিন সকালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নেন বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী নেতারা।  

এ সময় জেলা যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন্য নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করেন তারা।  

এ ঘটনায় জেলাব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। দলের ভেতরে এবং বাইরে নানা সমালোচনার মুখে পড়েন তারা। ওই রাতে বর্ধিত সভা শেষ করে জেলা সদর হাসপাতালে আহত বাবরকে দেখতে যান যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।  

জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু আলোচনায় আসেন বিগত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। দলের বাইরে গিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।  

আর হঠাৎ নেতা বনে যাওয়া এ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান দীর্ঘ সময় দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা সদর হাসপাতালে যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায়
পুলিশ বাদী হয়ে নোমানসহ ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। নিজ এলাকা সদর উপজেলার বশিকপুরে রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।