সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে যুবদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে শহরের ইবি রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল বদরুজ্জোহা, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, দপ্তর সম্পাদক আবু মুছা, সদস্য মিলন, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ও পৌর যুবদল নেতা আব্দুল মতিন রয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আব্দুল মতিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে ইবি রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে যুবদল নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইবি রোড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার কথা ছিল যুবদলের। কিন্তু সমাবেশে লোক জড়ো হলে সেটি আর শান্তিপূর্ণ থাকে না। এ বিষয়টি বলতে গেলে যুবদল নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয় এবং পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরসহ দুজন আহত হন। পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু বলেন, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। এ সমাবেশে পুলিশ নগ্নভাবে হামলা করে। আমাদের নেতাকর্মীর উপর গুলি চালানো হয়েছে। অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেন তিনি। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ মতিনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘন্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
এনএইচআর