নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগে গ্রেফতারকৃত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমলের স্বীকারোক্তিতে নাম আসায় সুমনকে গ্রেফতার করা হলো বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আরো তিনজনের গ্রেফতারের তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জেলা যুবদলের সভাপতি ও চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর এলাকার মো. মঞ্জুরুল আজিম সুমন, দক্ষিণ পূর্ব হাজিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম সুজন এবং মধ্য হাজিপুর এলাকার রাজু রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কমলের ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার নাম আসে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত জেলায় ২৯টি মামলা হয়েছে। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ২০৭ জনকে।
কুমিল্লায় পূজা মন্ডপে মুর্তির কোলে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার জেরে গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর নোয়াখালীর চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর চন্দ্র আশ্রম মন্দির ও শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরসহ আটটি পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং হিন্দুদের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এসব হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬টি মামলা হয়েছে। যাতে ৪১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও সাড়ে সাত হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ২০৭ জনকে।
এদিকে এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক এমপি বরকত উল্লাহ বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ জনের নাম উঠে এসেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল ইমাম ওরফে কমল (৩৯) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম সাঈদীন নাঁহীর আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
এসআই