ঢাকা: বিএনপি কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস ও জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৷ বৃহস্পতিবার(২৮ অক্টোবর) ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
বিএনপিকে সতর্ক করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সভা-সমাবেশ সকলের সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি বলতো সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না,আর অনুমতি দিলে হামলা,সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না,সরকার চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন, আর খালি মাঠে গোল দিতে আওয়ামী লীগ অভ্যস্তও নয় ৷ বিএনপিই জন্ম লগ্ন থেকে এটি চর্চা করে আসছে। ১৫ ই ফেব্রুয়ারির খালি মাঠে নির্বাচনে কথা বিএনপি ভুলে গেলেও জনগণ এখনও ভুলেনি। বিএনপি নেতারা তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ও কর্মী সমর্থকদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য এসব বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও বলেন , নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
পূজা মণ্ডপের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কোন দল করে সেটা দেখে নয়, ভিডিও ফুটেজ দেখেই চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিএনপি পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছিল কিন্তু সরকার তা শক্ত হাতে দমন করেছে৷ বিএনপি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিভেদ তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছে দেশকে উন্নয়নের সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে আর এটাই বিএনপি'র গাত্রদাহের কারণ বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরবর্তী ধাপে যে সব এলাকায় নির্বাচন হবে সে সকল এলাকার আওয়ামী লীগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিটগুলো এখন থেকেই মিটিং করে রেজুলেশন প্রস্তুত করতে হবে। যখন যে এলাকার জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে তার পরপরই ইউনিয়ন থেকে উপজেলা এবং জেলা হয়ে রেজুলেশন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮,২০২১
এসকে/এসআইএস