খুলনা: খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৬ নভেম্বর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজিত এই সম্মেলনের মাধ্যমে দলে আসতে পারে বড় পরিবর্তন এমনই গুঞ্জন এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে।
তরুণ ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তির নেতারাই এবার সম্মেলনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃত্বে আসবে এমনটি প্রত্যাশা সবার।
সম্মেলনকে সামনে রেখে সাজ সাজ রব দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগ অফিস এলাকায়। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সেসঙ্গে ব্যানার আর ফেস্টুনে যোগ হয়েছে ভিন্নমাত্রা।
সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব দেখতে চায় তৃণমূল কর্মীরা।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল গুহ। প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।
দীর্ঘ বছর পর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সভাপতি পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা মীর বরকত আলী ও এম এ নাসিম। সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান রাসেল ও আহমেদ ফিরোজ ইব্রাহীম তন্ময়।
অন্যদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি প্রার্থীরা হচ্ছেন, সাবেক যুবলীগ নেতা মো. মোতালেব হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগের নেতা রেজাউল করীম রেজা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিধান চন্দ্র রায়। সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক লীগের বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ভুলু ও আজিজুর রহমান রাসেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন নেতৃত্বে সভাপতি পদে আসতে পারেন এম এ নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আসাদুজ্জামান রাসেল। এছাড়া জেলা কমিটিতে সভাপতি হতে পারেন মো. মোতালেব হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন মিজানুর রহমান মিজান।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শেখ আসাদুজ্জামান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। সামনে সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচন। নেতৃত্বে এমন লোক আসা উচিত যাদের মাধ্যমে দল নির্বাচনের সময় উপকৃত হবে। আমি দলের একজন কর্মী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। আমার অভিভাবক শেখ পরিবারের সম্মানীত সদস্যরা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা যেটা ভালো মনে করবেন সেটাই আমি মেনে নেব।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান বাংলানিউজকে বলেন, আমি তৃনমূলের প্রার্থী। এর কারণে সংগঠনকে সাজাবো বলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। সম্মানিত অভিভাবক শেখ পরিবার ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত নেতারা আমায় যোগ্য মনে করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ করেছি। খুলনার রাজপথে বহু আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমার পরিবার আওয়ামী লীগ করার কারণে জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নির্যাতিত হয়েছে। দলের কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছি। আশা করছি, অভিভাবক নেতারা মূল্যায়ন করবেন। আর আমি ভোটে বিশ্বাসী। ভোট একটি উত্তম পথ। যোগ্য নেতা বের হবে তাহলে।
২০০৩ সালে জেলা ও ২০০৬ সালে মহানগর আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
এমআরএম/এএটি