ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

তরিকুল ইসলাম ছিলেন গণমানুষের নেতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২১
তরিকুল ইসলাম ছিলেন গণমানুষের নেতা

ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের অগ্রগণ্য রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম ছিলেন গণমানুষের নেতা।  

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) তরিকুল ইসলামের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে দেওয়া বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মরহুম তরিকুল ইসলাম ছিলেন গণমানুষের রাজনীতির সঙ্গে আজীবন যুক্ত। পরবর্তীতে মজলুম জননেতা মওলানা ভাষানীর অনুসারী হিসেবে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতি পর্যন্ত তিনি সবসময় ছিলেন জনগণের পক্ষে। দেশ ও দশের প্রতি সহমর্মী এই মানুষটি সবসময় নিজ আদর্শে ছিলেন অবিচল। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কল্যাণে গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ এবং গণতান্ত্রিক, মানবিক ও কল্যাণমূখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল মরহুম তরিকুল ইসলামের রাজনীতির মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন আজীবন। আজীবন সংগ্রামী এই নেতা নিষ্ঠুর নির্যাতন সহ্য করেও কঠিন সিদ্ধান্তে অটুট থাকতেন। তাঁর রাজনীতি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সবসময় অনুপ্রেরণা যোগাবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের আন্দোলনে এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মরহুম তরিকুল ইসলামের অবদান অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশমাতৃকার মুক্তিতে তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য জাতি তাঁকে চিরদিন কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করবে। তাঁর কর্মময় জীবনের সাফল্যের মূলে ছিল আদর্শনিষ্ঠ উদ্যম ও উদ্যোগ। জনঘনিষ্ঠ ও কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণেই তিনি জনগণ ও দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। মরহুম তরিকুল ইসলামের রাজনীতির মধ্যে নিহিত ছিল সমাজ উন্নয়নের মূল শক্তি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রে উত্তরণের সাহসী সংগ্রামে মরহুম তরিকুল ইসলামের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। মরহুমের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২১
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।