ঢাকা: বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, সাবেক মন্ত্রী ও ক্রীড়া সংগঠক সাদেক হোসেন খোকার অবদান গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের নিকট চিরকাল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান ক্রান্তিকালে এক বছর আগে জাতি একজন যোগ্য নেতাকে হারিয়েছে। মরহুম সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন ৭১ এর রণাঙ্গনের বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকায় তাঁর নেতৃত্বে পাকবাহিনীর বিভিন্ন আস্তানায় গেরিলা আক্রমণ পাকিস্তানীদের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল দৃঢ় হয়েছিল।
তিনি বলেন, মরহুম সাদেক হোসেন খোকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক, একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর সাহসিকতা নেতাকর্মীদের নিকট চিরকাল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জনসেবার মহান ব্রত নিয়ে তিনি রাজনীতি করতেন বলেই তিনি ঢাকাবাসীর কাছে ছিলেন একজন জনপ্রিয় নেতা। ফ্যাসিবাদী শাসকদের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবেলায় সাদেক হোসেন খোকার মতো পূর্ণাঙ্গ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদের পৃথিবী থেকে চিরপ্রস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এক বিরাট শূন্যতা। আমি মরহুম সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর ৬৮ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় জুরাইনে তার কবর জিয়ারত ও দোয়া করবেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। বাদ জোহর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪,২০২১
এমএইচ/কেএআর