ঢাকা: যারা জাতীয় চার নীতিকে ছুড়ে ফেলে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়েছে তারাই আজ সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আয়োজনে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমু বলেন, ৭২-এর সংবিধান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে স্বীকৃত। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে যারা সংবিধানকে কলুষিত করেছে, জাতীয় চার নীতিকে ছুড়ে ফেলেছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়েছে তারাই আজ আবার সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছেন। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড নয়, বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।
আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও জেলহত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন খালেদা জিয়া। তারা দুজনেই হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল নয়, তারাই হত্যা ও অপরাজনীতির ধারক-বাহক। এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকও বিএনপি-জামায়াত।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টি-জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, গণআজাদী লীগের সভপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২১
এসকে/আরবি