ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নুর হোসেন হত্যার মামলা হলো না কেন?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
নুর হোসেন হত্যার মামলা হলো না কেন?

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নুর হোসেন হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে। আমরা নুর হোসেন হত্যার বিচার চাই।

বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, কেন নুর হোসেন হত্যার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ হলো না? আজ দেশের মানুষ জানতে চায়, কেন নুর হোসেন হত্যায় মামলা হলো না? ১৯৯১ সালের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে অসংখ্য মামলা হয়েছে। কিন্তু নুর হোসেন হত্যার মামলা হলো না কেন? 

তিনি আরও বলেন, এখন মনে হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্নাম করতেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নুর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।  

তিনি প্রয়াত নুর হোসেনের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেন, নুর হোসেন বুকে ও পিঠে যে শ্লোগান লিখেছিলেন, আজ আমরাও সেই শ্লোগান দিচ্ছি। আজ আমরাও বলছি, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। আমরা নুর হোসেন হত্যার বিচার চাই।

জি এম কাদের আরও বলেন, সরকার দেশের মানুষের কষ্ট বোঝে না বলেই অযৌক্তিকভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার পরিবহন সেক্টরের সাথে নাটকের মাধ্যমে ধর্মঘট ডেকে সড়ক ও নৌপথের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। ভাড়া যা বাড়িয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে গণপবিরহণে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। অসহনীয় কষ্টে আছে দেশের মানুষ। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে।

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ ফিরিয়ে দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।  

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পরই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন।  

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির শাসনামল ফিরে পেতে চায়। দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি।

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আরও বক্তব্য দেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রওশন আরা মান্নান, সেলিম উদ্দিন, হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওমর, এইচ এম আসিফ শাহরিয়ার।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য শেরিফা কাদের, ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. গোলাম মোস্তফা, আমানত হোসেন আমানত, লে. ক. (অব.) সাব্বির আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
এসএমএকে/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।