ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘রেইনট্রিতে ধর্ষণের রায়ে নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২১
‘রেইনট্রিতে ধর্ষণের রায়ে নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে’

ঢাকা: রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে ‘সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কালকে (বৃহস্পতিবার) একটা মামলার রায় হয়েছে। রেইনট্রি হোটেলে দুজন শিক্ষার্থী ধর্ষণ হয়েছিল, সেটা মামলা হয়েছে। মামলাতে যেটা দেখা যাচ্ছে, আমরা যেটুকু দেখছি পত্রিকাতে, ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করা হচ্ছে, আদালতেও স্বীকার করছে। কিন্তু রায় হচ্ছে কী? বেকসুর খালাস। কেন? কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে যে, যারা গ্রেফতার হয়েছে, যাদেরকে একিউজড করা হয়েছে, দে আর সো পাওয়ারফুল। তাদের এত টাকা! জুয়েলারি, এমপি—এই সমস্ত। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করে এদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। এই ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না।

বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের শিকার মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকালও বলেছিলাম যে, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। এসকে সিনহাকে (সাবেক প্রধান বিচারপতি) বন্দুক দেখিয়ে দেশ থেকে বের করে দিলেন। কী কারণে? উনি একটা রায় দিয়েছিলেন বিচারক নিয়োগ করবার যে ব্যবস্থা ছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, বিচারকদের অভিসংশনের ব্যাপারে। সেটা সরকার মেনে নিতে পারেনি। তারপর কী হলো? তাকে একেবারে বন্দুক ঠেকিয়ে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলো… আমরা তো দেখেছি এগুলো, নামও জানি আমরা। তার মধ্যে একজন চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে, ‘ল’ সেক্রেটারিও ছিলেন সেটার মধ্যে।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ কেন করেছিলাম। আমাদের একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থাকবে, আমরা কথা বলতে পারব। একটা গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ করব। সাধারণ মানুষের মোটা ভাত, মোটা কাপড়ের ব্যবস্থা হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষার ব্যবস্থা হবে। এটাই তো ছিল স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল আশা আকাঙ্ক্ষা।  

জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, জাগপার আওলাদ হোসেন শিল্পী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২১
এমএইচ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।