ঢাকা: দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে কিন্তু একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। গত ৯ বছরের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর তিন হাজার ৯৭০টি হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
রোববার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, সরকারি দলের কিছু সংসদ সদস্য প্রায়ই বলছেন হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করছে, এজন্য তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে দায়ী করছেন। অথচ সংবিধানে সব ধর্মের সমান অধিকারের কথা বলা আছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পাশাপাশি অন্য ধর্মের সমান অধিকার দেওয়া আছে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশে সংখ্যালঘু কমে যাওয়ার অন্যতম দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে যখন সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে তখন কেন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়। যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা দাবি করে তারা ছাড়া আর কেউ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেয় না তাদের সময় কেন এটা হচ্ছে, কেন এ ধরনের রিপোর্ট আসছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে, একটি ঘটনারও বিচার হয়নি।
তিনি বলেন, নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন দিয়েছিল। পত্র পত্রিকায় সমালোচনা ওঠার পর বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন দেওয়া হলো, এতেই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়। গত ৯ বছরের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর ৩ হাজার ৯৭০টি হামলা হয়েছে। কুমিল্লায় মূর্তির পাশে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনার পর পুলিশের ওসির সামনে ফেসবুক লাইভ দেওয়া হয়, ওসি বাধা দেয়নি। চাঁদপুর, রংপুরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম এসেছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলছে, সংখ্যালঘুদের ওপর এসব হামলার সময় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল।
এদিকে বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ ওয়াকআউট করলেও রুমিন ফারহানা সংসদেই ছিলেন। এ পয়েন্ট অব অর্ডারের বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওয়াকআউট করে সংসদটাকে খালি করে ফেললে বোধহয় সরকারি দলের সদস্যদের সুবিধা হতো। তবে এত বেশি সুবিধা আমরা দেবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
এসকে/এনটি